২৬ বছর আগে এসবের শুরু। আমার মাথার দাম ঘোষণা করেছিল সিলেটের এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। কারো মাথার দাম ঘোষণা করা, অর্থাৎ জনগণকে বলা– তোমাদের মধ্যে ওর মুণ্ডুটা যে ব্যক্তি কেটে নিয়ে আসতে পারবে,অর্থাৎ তাকে হত্যা করতে পারবে, তাকে আমি মোটা অংকের টাকা দেব– নিশ্চয়ই খুব বড় এক অপরাধ। কিন্তু এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে তখনকার সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মামলা করা, গ্রেফতার করা, জেলে ভরা তো দূরের কথা, সামান্য তিরস্কার পর্যন্ত করেনি। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানকে বরং টিকিট দিয়েছিল ভোটে দাঁড়ানোর জন্য। প্রকাশ্যে মাথার দাম ঘোষণা করার পর অপরাধীর জনপ্রিয়তা যদি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোয় বেড়ে যায়, তাহলে তো নিশ্চিতই দেশ ভয়াবহ ভবিষ্যতের দিকেই যাত্রা করবে।
ফতোয়ার উচ্ছাসে রাস্তায় তখন প্রায় প্রতিদিন মিছিল হতো। এক বদলোক থেকে বাকি বদলোক উৎসাহ পায়। সরকারের মৌনতাকেই লোকেরা সমর্থন বলে মনে করে। মিছিলে লোক আনা হতো বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে। তারা জানতোই না তসলিমা কে, কী লেখে, কিন্তু তার ফাঁসি চাইতো। তসলিমা নাকি তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। মিছিল দিন দিন ফুলে ফেঁপে বড় হতে থাকে, এক সময় ‘অনুভূতির রাজনীতিক’রা হরতালের ডাক দেয়, সেই হরতাল সফল হয়। লং মার্চের ডাক দেয়, মানিক মিয়া এভিনিউতে ৪ লাখ মোল্লার সভা হয়। এক লেখিকার ফাঁসির দাবিতে তখন স্কুল কলেজ অফিস আদালত বন্ধ থাকে, যান বাহন চলাচল বন্ধ থাকে। উগ্র ধর্মান্ধ, আর জঙ্গি মুসলমানরা তখন রাস্তা ঘাটে অবাধে চরম উচ্ছৃংখলতা, রক্তপাত, আর নারকীয় উল্লাসে ব্যস্ত। সরকার ওদের শাস্তি তো দেয়ইনি, ওদের শান্ত করার কোনও ব্যবস্থাও নেয়নি। উলটে আমাকে শাসিয়েছে, আমার বিরুদ্ধে খালেদা সরকার মামলা করেছে, আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে, আমাকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।
যারা দুদিনের মধ্যে চার লাখ লোকের জমায়েত ঘটিয়ে দিতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলোর জিভ তখন তাদের দলে টানার মতলবে বেরিয়ে এসেছে। ওইসব বর্বর ফতোয়াবাজ আর ধর্ম ব্যবসায়ীর অনেকেই পরে সংসদে বসেছে। আমি কোথায়? চিরকালের নির্বাসনে। কী অপরাধ ছিল আমার? আমার অপরাধ ছিল — নারীর সমান অধিকার দাবি করা, মানবাধিকারের লংঘন যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার কথা বলা, ধর্মীয় আইনের বদলে নারী পুরুষের সমানাধিকারের ভিত্তিতে আইন তৈরি করার দাবি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য আবেদন করা।
আমার প্রিয় দেশটিকে সেদিন দেখেছি কী রকম ভয়ংকর উন্মত্ত হতে। বর্বরদের উন্মত্ততাকে বারবার উস্কে দিয়েছে, প্রশ্রয় দিয়েছে শাসকের দল। শুধু আমাকেই নির্বাসনে পাঠিয়ে শান্ত হয়নি ওরা, কত বুদ্ধিদীপ্ত তরুণকে বর্বরগুলো নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে। সমাজ হয় ওদের ভয়ে তটস্থ, অথবা সহজে মগজধোলাই হয়ে এক একটা জড় পদার্থ হয়ে বসে আছে। পঙ্গপালে ছেয়ে গেছে দেশ। এই দেশকে বর্বরদের কবল থেকে কে বাঁচাবে? আমি তো কাউকে দেখিনা। যে দলকে নিয়ে আশা ছিল, সে দল ওদের সংগে আপোস করেছে। বাকিরা ব্যস্ত সরকারের চাটুকারিতা করে আখের গুছিয়ে নিতে। মানবাধিকারে, বাক স্বাধীনতায়, গণতন্ত্রে, নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করা সৎ, নিষ্ঠ, আদর্শবাদী মানুষ আজ নেই বললে চলে।
দেশ কতটা নষ্ট হলে একজন সুফি গায়ককে গ্রেফতার করতে পারে, রিমাণ্ডে পাঠাতে পারে, জেল-হাজতে ভরতে পারে, তা সামান্য বিবেক যাদের আছে, তারা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারে। ইসলামে গান নিষিদ্ধ নয়, — এ কথা জোর দিয়ে বলেছিলেন শরিয়ত সরকার বাউল। মোল্লাতন্ত্র খুশি নয় শরিয়ত বাউলের ওপর, সে কারণে গ্রামে গঞ্জে পালাগান গাওয়া এই সুফিকে বন্দি করা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, আছে মোল্লাতন্ত্র। মোল্লাতন্ত্র আছে বলেই অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ মুক্তচিন্তকদের হয় নিহত হতে হয়, নয়তো নির্বাসন জীবন যাপন করতে হয়।
শরিয়তকে দোষী সাব্যস্ত করা মানেই ইসলামে গান বাজনা নিষিদ্ধ তা প্রতিষ্ঠিত করা। তাহলে কি বাংলাদেশে আজ থেকে সব গান বাজনা নিষিদ্ধ? রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, পল্লী গীতি, বাউল গান, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, ব্যান্ডের গান, আধুনিক গান, গণ সংগীত, জীবনমুখী গান, জাতীয় সংগীত– সব নিষিদ্ধ? তাহলে সব নিষিদ্ধই করে দেওয়া হোক। শিল্প সাহিত্য সব নিষিদ্ধ হোক। ইস্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হোক। শুধু মাদ্রাসা খোলা থাকুক। শুধু কোরান, হাদিস পড়া হোক। সুর বলতে কোথাও যদি কিছু থাকে, তা শুধু আজানের সুর। দেশ জুড়ে শুধু মসজিদ বানানো হোক, কোনও একাডেমী নয়, লাইব্রেরি নয়, জাদুঘর নয়। টুপি আলখাল্লা আর বোরখাই হোক নারী পুরুষের পোশাক, অন্য কিছু নয়। মাথার সামান্য চুল যদি বেরিয়ে আসে বোরখার ফাঁক দিয়ে, তাহলে রাস্তা ঘাটে ধর্ম-পুলিশেরা পেটাবে মেয়েদের, যদি বোরখার তলায় যদি ট্রাউজার পরে কোনও মেয়ে, তাহলেও একশ’ চাবুক মারবে। ছেলেরা টুপি না পরলে বেত্রাঘাত, দাড়ি না রাখলে পিটিয়ে নিতম্বের চামড়া লাল। দেশে কোনও আদালত নয়, থাকবে শুধু শরিয়া কোর্ট। জনতার সামনে তলোয়ারের এক কোপে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীর ধর থেকে মুণ্ডু ফেলে দেবে। জনতা আল্লাহু আকবর বলে জয়ধ্বনি করবে। শুধু স্বামী-সন্তানের সেবা আর সন্তান উৎপাদনের জন্য ঘরবন্দি করা হোক নারীকে। আল্লাহর শাসন চলবে দেশে। পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হবে তাদের যারা নামাজ রোজায় গাফিলতি করবে, যারা ব্যাভিচার করবে, যারা ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন করবে। কোনও গণতন্ত্র, কোনও মানবাধিকার, নারীর অধিকার, কোনও বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার থাকবে না দেশে।
আমি সত্যি চাইছি এমনই ভয়ংকর দিন আসুক বাংলাদেশে। মানুষ পরাধীনতার শেকলে বন্দি থাকতে থাকতে অতিষ্ট হয়ে উঠুক। মানুষের দম বন্ধ হতে হতে শ্বাস নেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠুক। শেষ অব্দি মানুষই মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে উঠুক। মানুষ মানুষকে বাঁচাবার জন্য সত্যিকার গণতন্ত্র আনুক, সত্যিকার ধর্মনিরপেক্ষতা আনুক, সমাজকে সত্যিকার শিক্ষিত আর সভ্য করার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করুক। ফিরিয়ে আনুক, সাহিত্য, সংগীত, সংস্কৃতি। ভুলে গেলে চলবে না বাংলার সংস্কৃতি বর্বর আরবদের সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন। ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিশ্বাসের নাম, ধর্ম কোনও সংস্কৃতির নাম নয়, কানুনের নাম নয়। এটিকে ব্যক্তিগত চৌহদ্দি থেকে যদি বাইরে আসতে দেওয়া হয়, তাহলে ধর্ম ব্যবসায়ীরা একে নিয়ে ধুন্দুমার ব্যবসা শুরু করবে। তাই করেছে। রাজনীতি শুরু করবে, তাই করেছে। এখন কিছু কি বাকি আছে বাংলাদেশের সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া বা সিরিয়া হতে?
১৯৭১ সালে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে বিভিন্ন স্বৈরাচারী শাসক। আজ যে সরকার একাত্তরের রাজাকারকে ফাঁসি দেয়, সেই সরকার বর্তমান রাজাকারদের চুমু খায়। যে সরকার সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনে, সে সরকার রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখে। যে সরকার মানুষকে উদারপন্থী হতে বলে, সে সরকারের আনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে উদারপন্থী হওয়ার অপরাধে মানুষকে জেলে যেতে হয়। তারপরও সরকার চুপ। যেভাবে চুপ ছিল এক এক করে যখন মুক্তচিন্তকদের হত্যা করেছিল জংগিরা। শুধুই গদি হারানোর ভয়।
সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক যখন অন্যায়কে সমর্থন করে, আমাদের ক্ষমতাবান সরকারপ্রধানও মনে করেন, অন্যায়কে সমর্থন করতে হবে, তা না হলে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন হারাতে হবে। আজ যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক ভেড়ায় পরিণত হয়, তবে তাদেরকে ভেড়ায় পরিণত করার দায় কিন্তু সবচেয়ে বেশী সরকারের। ভেড়ার সমর্থনের বদলে ভেড়াকে যুক্তিবুদ্ধিসম্পন্ন চিন্তাশীল, প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্বও কিন্তু সবচেয়ে বেশি সরকারের। এই দায়িত্ব যদি আজ সরকার না নেয়, যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো একটি কালা কানুন আজও বাতিল না করে, আজও যদি বাউল বয়াতিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা না করে, যদি মুক্তচিন্তকদের দেশে ফিরিয়ে না আনে, যদি মানুষের বাক স্বাধীনতা রক্ষা আজও না করে — তবে আমরা নিশ্চিত যে দেশটিকে অন্ধকারের অতল গহবর থেকে বাঁচাবার সুযোগ পেয়েও বাঁচায়নি এই সরকার।
দেশটিকে তাহলে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার অপরাধে অপরাধী সব সরকারই।
কাঁদো প্রিয় দেশ, কাঁদো।
তুমি ভাল আছ সকাল? তোমার লেখা মনে সাহস যোগায়, প্রতিবাদ করার স্পর্ধা বাড়ছে আমার, রক্তচক্ষু র কটমটানি আর ক্ষমতাকে ভয় পাইনা আর, তোমার সাথে এই জীবনে তন্তত একবার দেখা করতে চাই
Kano ato dischintagrostho? Somayto bole dibe kokhon kar ki hobe. Apnake nirbasito jara koreche tara ki sei onnay kajer sasti payni? Kivabe bujlen somay tader anukule ache? Somay apnar anukulei ache. Vabchen desher matite thakle valo hoto? Na puro prithibikei nijer vaben tahle r nij bolte kicui thakbe na, R jodi jenei thaken onnay korle sasti petei hobe houk seta derite ba siggroi tahole jothestho. Apnar sotto iccha gulo prosfutito houk.
আমি একজন বাংলাদেশী তরুণ। নাম মাহমুদ। আপনার সাথে কথা বলার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। আপনার কি সময় হবে? আমি আপনাকে বিরক্ত বা গালাগাল করব না। শুভাকাঙ্খী ভাবতে পারেন।
এটি আপনার পোষ্ট সম্পর্কিত কোন কমেন্ট নয়,
দয়াকরে আলচ্য বিষয়ের বাইরে কথা বলবার জন্য মার্জনা করবেন,
আমার নাম, মাইকেল অপু মন্ডল আমি বাংলাদেশরে নাগরকি বর্তমানে টুরষ্টি ভিসায় ভরেতে অবস্থান করছি, আমি আমার মতামত সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছি বলে আমার নামে বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধিনে তিনটি ধারায় ২৮/১১/২০১৮ তারখে মামলা হয়, (সম্ভাবত ২২, ২৮, ও ২৯ ধারায়) আমি আর কোন অবস্থায় বাংলাদেশে ফিরে যাবার অবস্থানে নেই, আমি ভারতে সাইলেম ক্লেম করবার জন্য উপায় খুজছি, তবে জানি না সেটি করতে কি করতে হবে,
আমার খুব ইচ্ছা আপনার সাথে কথা বলার ,
আপনি কি একটু সাড়া দেবেন?
খারাপ আচরণ করব না। ইন শা আল্লাহ
বা কোন যুক্তি তর্কও করব না।
আসসালামুআলাইকুম
কি খবর তাসলিমা নাসরিন কেমন আছেন???
দিন কাল যাচ্ছে কেমন আপনার ।
আমি আপনাকে দেখিনি আপনার লেখা কোন বই বা উপন্যাসও আমি পড়িনি।
কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আপনার কথা শুনে আসতেছি আপনি নাকি এই দেশের একজন নাস্তিক ছিলেন।
আজ আপনার জীবন বৃত্তান্ত দেখলাম।তাই ভাবলাম আপনার সাথে একটু কথা বলি।
আশা করছি আপনি আমার লেখা পড়বেন,,,,!
এই লেখাটি পড়েছেন কি না জানালে,,পরবর্তি সময়ে আপনার কাছে অনেক বিষয়জানাএ ছিল।
আসসালামুআলাইকুম
কি খবর তাসলিমা নাসরিন কেমন আছেন???
দিন কাল যাচ্ছে কেমন আপনার ।
আমি আপনাকে দেখিনি আপনার লেখা কোন বই বা উপন্যাসও আমি পড়িনি।
কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আপনার কথা শুনে আসতেছি আপনি নাকি এই দেশের একজন নাস্তিক ছিলেন।
আজ আপনার জীবন বৃত্তান্ত দেখলাম।তাই ভাবলাম আপনার সাথে একটু কথা বলি।
আশা করছি আপনি আমার লেখা পড়বেন,,,,!
এই লেখাটি পড়েছেন কি না জানালে,,পরবর্তি সময়ে আপনার কাছে অনেক বিষয়জানার ছিল।
Lenin balechilen, “parliament hachhe shuorer khoner”.
Out of all the highest level so called educated people, who got a chance to know and analyse the society, 99.99 percent people are busy in establishing there respective position. Only a very few tries to strike at the bad part of the society, and once they do that, they end up becomeing a “bad boy” with respect to the administrative believe and many a times, they end up becomeing a Jesus Christ.
Desh ke thik korar theke pochonder desepari joman sohoj bhasa sekha sohoj sob kaj kora sohoj kintu desh thik kora kothin
সত্যিই আপনি একজন সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয়ই আপনার মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ রয়েছে।
আমি মন থেকে আপনার জন্য প্রার্থনা করলাম, যাতে আপনি সফল হোন, এবং গোটা পৃথিবী মানুষ সফল হয়। যাতে ধর্মের কারণে কাউকে ভাগ হতে না হয়।
সালাম আপনার প্রতি।
খুব বাজে চিন্তাভাবনা
শরিয়তকে দোষী সাব্যস্ত করা মানেই ইসলামে গান বাজনা নিষিদ্ধ তা প্রতিষ্ঠিত করা। তাহলে কি বাংলাদেশে আজ থেকে সব গান বাজনা নিষিদ্ধ? রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, পল্লী গীতি, বাউল গান, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, ব্যান্ডের গান, আধুনিক গান, গণ সংগীত, জীবনমুখী গান, জাতীয় সংগীত– সব নিষিদ্ধ? তাহলে সব নিষিদ্ধই করে দেওয়া হোক। শিল্প সাহিত্য সব নিষিদ্ধ হোক। ইস্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হোক। শুধু মাদ্রাসা খোলা থাকুক। শুধু কোরান, হাদিস পড়া হোক। সুর বলতে কোথাও যদি কিছু থাকে, তা শুধু আজানের সুর। দেশ জুড়ে শুধু মসজিদ বানানো হোক, কোনও একাডেমী নয়, লাইব্রেরি নয়, জাদুঘর নয়। টুপি আলখাল্লা আর বোরখাই হোক নারী পুরুষের পোশাক, অন্য কিছু নয়। মাথার সামান্য চুল যদি বেরিয়ে আসে বোরখার ফাঁক দিয়ে, তাহলে রাস্তা ঘাটে ধর্ম-পুলিশেরা পেটাবে মেয়েদের, যদি বোরখার তলায় যদি ট্রাউজার পরে কোনও মেয়ে, তাহলেও একশ’ চাবুক মারবে। ছেলেরা টুপি না পরলে বেত্রাঘাত, দাড়ি না রাখলে পিটিয়ে নিতম্বের চামড়া লাল। দেশে কোনও আদালত নয়, থাকবে শুধু শরিয়া কোর্ট। জনতার সামনে তলোয়ারের এক কোপে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীর ধর থেকে মুণ্ডু ফেলে দেবে। জনতা আল্লাহু আকবর বলে জয়ধ্বনি করবে। শুধু স্বামী-সন্তানের সেবা আর সন্তান উৎপাদনের জন্য ঘরবন্দি করা হোক নারীকে। আল্লাহর শাসন চলবে দেশে। পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হবে তাদের যারা নামাজ রোজায় গাফিলতি করবে, যারা ব্যাভিচার করবে, যারা ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন করবে। কোনও গণতন্ত্র, কোনও মানবাধিকার, নারীর অধিকার, কোনও বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার থাকবে না দেশে। —–এটা খুবী বাজে…….
Security is mostly a superstitious thought Therefore .. you are not supertitious as you are not secure..
তসলিমা আপনার ভাবনার প্রতিফলন আপনার সব লেখার পাওয়া যায়। ধর্মান্ধ রা পৃথিবীর কোথাও মুক্ত চিন্তাধারার সমর্থক ন।আমাদের ভারতের অবস্থাও আজ ঐ একই রকম। এরা নিজের মাকে দেখে না কিন্তু গো মাতার পুজো করে। এদের সাথে সহমত নাহলেই সে দেশদ্রোহী। আপনার জন্য আমরা গর্বিত যে এত কষ্ট সহ্য করেও আপনি ওদের কাছে মাথা নত করেন নি। ভালো থাকবেন।
আপনার একা কবিতার প্রতিবাদে,
আমার কবিতার নাম “দোকা”
আলিশান এর প্রফুল্ল কুঠুরিতে নিসঙ্গ একা,
বিড়ালের সাথে বসবাসে হয় কি শূন্যতার অবসান?
নির্জনে জিনদালাশ ছাড়া ওটাকে কি আর কিছু বলা যায়?
পুরুষের প্রতি হিংস্রতা দেখিয়ে লিখতে পারো রম্য নিসংগতা বাদী কবিতা,
এটা তোমার লোক দেখানো শুধু মুখের বুলি মাত্র।
ঠিক কবিতা পাঠ শেষে তোমাকে নিতে হয় নিসঙ্গতার টানা নিঃশ্বাস।
তোমার মন বলে যদি থাকত মনের মত পুরুষ, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে থাকতাম দুজন দুজনার।
তুমি প্রকৃতির অভিশাপে পড়ে হয়েছ অভিশপ্ত।
তাইবেদনাদায়ক নৈরাশ্যে নিমজ্জিত। তাই বিড়ালের সাথে বসবাস করে কবিতা লিখেছ একা।
জীবনকে সচ্ছ মহিয়ান আর প্রশান্তির সহাহ্নে,
দুজন দুজনার স্বর্গবাদী মধুর মিলনে ধরনী হোক প্রশান্তির নীড়ে দোকা।
দিদি হিন্দুদের পাঁ চেটে আর কত দিন খাবেন? আপনার ঘিলুতে নিউরনের সংখ্যা হাতে গনা যাবে। এই হল আপনার অবস্থা আর আপনি অন্যরে জ্ঞান দিয়ে বেড়ান। কাজ করে খান, পরজিবীর মত আর কতদিন ভর্তুকি দিয়ে চলবেন।
আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক।
প্রিয় (ম্যাডাম) ‘মা’ ,
আমার প্রণাম নেবেন |আমি আপনার একজন পরম ভক্ত |আমার কাছে আপনি আমার নিজের জন্মদাত্রী ‘মা’ এর সমতুল্য |আমি আপনাকে নিজের ‘মা’ এর মতো সম্মান ও শ্রদ্ধা করি |আমার জীবনের একটাই ইচ্ছে আছে |আর সেটা হলো ,আপনার সাথে অন্তত একটি বার কথা বলা | ‘মা’ আমি আপনার সন্তানের মতো |দয়া করে যদি আপনি আমার এই আবদারটি পূর্ণ করেন তাহলে আমার জীবন সার্থক হয়ে যাবে |
( ‘মা’ যদি আমি আপনাকে বিরক্ত করে থাকি তাহলে আমাকে নিজের সন্তান মনে করে ক্ষমা করে দেবেন|)
ইতি
আপনার সন্তানসম
ইন্দ্রজিৎ হালদার
Love you
এতোই যদি ভালোই হও ,তাহলে সমালোচনা করা
সেই বোরকা পরেই কেন পালাইছিলে ????why ??
দিদি আপনি লিখে যান। আমরা আপনার পাশেই আছি। আপনার লেখা ব্লগগুলো পড়তে খুব ভালো লাগে। প্রথম ইন্ডিয়া।
অসম্ভব সুন্দর লেখা আপনার ।
আপনি নাকি মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী ,,,,, তাহলে হাসিম আমলার দাড়ির ব্যাপারে আপনার এতো চুলকানি কেন? দাড়ি অর্ধেক রাখবে নাকি,,,,, না রাখবে।……….. নাকি দাড়ি পেঁচিয়ে হেডফোন বানাবে সেটা হাসিম আমলার বিষয়। কিন্তু আপনি তাকে সম্মান না দিয়া তার মুক্তচিন্তায় আঘাত করেন।……. আপনার মুক্তচিন্তায় যখন আমরা আঘাত করেছিলাম তখন তো আপনি কেঁদে বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা দ্বিগুণ করে ফেলেছিলেন?????? মালালার ব্যাপারে নাই বললাম ,,,,
আমি স্বপন কুমার রায় সম্প্রতি একটি সরকারি কলেজ থেকে অবসরে এসেছি। আমার জন্মতারিখ ০২০১১৯৬০খ্রি।
আপনি জানেন ভালোই যে আমাদের চিন্তার পদ্ধতিতে মারাত্মক ত্রুটি আছে। আমাদের বিজ্ঞানসম্মত dichotomy ও যে কোনও মুহূর্তে আমাদের নরকের অসভ্য প্রাণীতে বদলে দেয়। আমার ইচ্ছে আপনি আমাদের চিন্তা পদ্ধতি বদলানোর জন্য লিখবেন। নতুন moral-aesthetic যুগের আগমনী প্রচার করবেন। আমি আপনার সাথে দেখা না করেই এক সাথে একটি বই লিখতে চাই। আর চাই আপনি আনন্দে থাকুন। কারণ নিরাপস যুক্তিবসদীরই আছে নির্মল আনন্দের অব্যয় অধিকার। শুভেচ্ছা শুভেচ্ছা