আমি যখন রান্না করি, বাসন মাজি, ঘর দোর পরিস্কার করি, তখন অসহ্য নৈঃশব্দকে ভেংগে টুকরো করার জন্য ব্লুটুথের স্পিকারে জোরে গান চালিয়ে দিই। আজ শচীন দেববর্মণের পুরোনো বাংলা গানগুলো শুনেছি। তখনও কর্তার গান বাজছে, যখন বাংলাদেশের খবরে জনসমুদ্রের ছবি দেখলাম! লক্ষ টুপিওয়ালা কোনও এক মোল্লার জানাজায় যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশে তো লক ডাউন চলছে। তাহলে! তাতে কিছু যায় আসে না ওদের! ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোক ওরা। আহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তো জন্মেছিলেন শচীন দেববর্মণ! বাংলা মায়ের কোল আর বাংলা মায়ের ঢোলের জন্য কী আকুলতাই না তাঁর ছিল! কী রূপ দেখি আজ সেই বাংলার!
এই মূর্খ ধর্মান্ধ বাংলাদেশকে তৈরি করেছে জিয়া, খালেদা, এরশাদ আর হাসিনা। এদের সম্মিলিত চাষের ফসল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পংগপালগুলো। ওদিকে পাকিস্তানের মসজিদও খোলা। আল্লাহর ঘর কাবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, আর বাংলাদেশ পাকিস্তানের মসজিদ বন্ধ হতে পারে না। রমজানের তারাবি নামাজের জন্য পাকিস্তানের মসজিদ খোলা রাখার জন্য কথাবার্তা চলছে।
মাঝে মাঝে মনে হয় মরে যাক সব করোনায়। যাদের মস্তিস্ক এত ভোঁতা, সমাজের অনিষ্ট করা ছাড়া আর কোনও ভূমিকা নেই যাদের, তাদের কী লাভ বেঁচে থেকে ! এদের মগজ ধোলাই হয়েছে ছোটবেলায়, ব্যস এতেই কি এদের সাত খুন মাফ? এদের সকল অন্যায়কে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে চিরকাল? যুক্তি বুদ্ধি যে একেবারেই এদের নেই তা তো নয়, যে যুক্তিতে আকাশে বাঘ উড়ছে শোনার পর বিশ্বাস করার আগে নিজের চোখে দেখতে চায়, সেই যুক্তিতে আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করার আগে প্রমাণ দেখতে চায় না কেন! মরতে চাইছে মরে যাক, মুশকিল হলো ওরা তো একা মরবে না, প্রচুর ভালো মানুষকে ওদের কারণে মরতে হবে।
হিন্দুদের ওপর মাঝে মাঝে রাগ হয়! কেন দলে দলে তোরা মুসলমান হয়েছিলি! আজ তো সে কারণেই উপমহাদেশ জুড়ে মুসলমানের এই ভয়ানক জনসংখ্যা! দেশভাগ করলি। মারামারি কাটাকাটি করলি। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বানালো তোদের ধর্মান্তরিত সন্তানেরা। এখনও ধর্মের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে। লেখাপড়া জানা, না-জানা সকলে। অশিক্ষিত ধর্মান্ধগুলোকে দেখা যায়, ওরা বাইরে বেরোয় বলে। শিক্ষিত ধর্মান্ধগুলো ঘরে বসে বসে অপেক্ষা করছে কবে বিজ্ঞানীদের তৈরি করা ভ্যাক্সিন নেবে, ঘরে বসে বসে কোরানের আয়াতও খুঁজছে, যে আয়াতকে তারা বলতে পারবে এখানে আল্লাহ বলেছেন আমিই করোনা ভাইরাস দিয়েছি, আমিই সারিয়েছি। সুতরাং আল্লাহ জ্ঞানী, আল্লাহ মহান।
ঘোড়ার ডিম মহান। এসব ধর্ম টর্ম যে ঘোড়ার ডিম, তা প্রমাণের জন্য পৃথিবীতে করোনার মতো বড় উদাহরণ আর আসেনি। মানুষের দুর্যোগে কোনও আল্লাহ, কোনও ঈশ্বর, কোনও ভগবানই কখনও পাশে দাঁড়ায় না। আসলে ওদের অস্তিত্ব নেই বলেই দাঁড়ায় না। যদি কেউ দাঁড়ায়, সে বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানমনস্ক, প্রগতির পক্ষের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ । ধর্মান্ধরা জন্মান্ধের মতো, চোখের সামনের এত বড় সত্যিটাও ওদের চোখে পড়ে না।
Sana
ম্যাম , আমি আপনার লেখা নিয়মিত পড়ি । প্লিজ আবার ব্লগ লেখা শুরু করুন। আপনার লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে। ভারত থেকে।
Kabita Rakshit
আমি তোমার একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। তোমার এই ঘোড়ার ডিম ব্যাপারটা আমার কাছে খুব মজার ব্যাপার কারণ এই কথাটা আমাদের মত সাধারণ মানুষরাই বলে থাকি যারা কৌতুক প্রিয় কিন্তু তোমার মত অসাধারণ মানুষ ও যে একথা লিখতে বা বলতে পারে সেটাই আমার কাছে একটা আশ্চর্যের ব্যাপার। এছাড়াও একটা ব্যাপার অনুমান করতে পারি যে তোমার ও রাগ হলে বা কৌতুক করে এই কথাটা ব্যাবহার করে ফেল। তুমি আরো আরো লেখ। আমি তোমার লেখা হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। ধন্যবাদ। কবিতা।