আমি তো ডিভোর্স দিতে খুব পারি। ভাবতাম দুনিয়াতে আমিই বুঝি খুঁতহীন নির্ভেজাল সম্পর্ক চাই, ছোটলোকির সঙ্গে, প্রভুত্ব ফলানোর সঙ্গে আপোস একেবারেই করি না। এখন দেখছি আমার চেয়েও বেশি নিখুঁত সম্পর্কে বিশ্বাস করেন সোফি গ্রেগোয়ার। আমি যদি সোফি গ্রেগোয়ার হতাম, কোনওদিনই জাস্টিনের মতো এমন সুদর্শন, আদর্শবান, এমন মানবিক এবং এমন পাগল করা প্রেমিককে ত্যাগ করতাম না। সোফি গ্রেগোয়ার সরে গিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো্র জীবন থেকে। এমন নিখুঁত সুপুরুষের কি সত্যিই কোনও খুঁত থাকতে পারে! আসলে দূর থেকে আমরা কোনওদিনই জানবো না কী কারণে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। তারপরও আমার একটি আশা, কিছুদিন পর যখন স্বামী স্ত্রী তাঁদের সন্তানদের নিয়ে পারিবারিক ছুটি কাটাবেন, তখন পরস্পরের প্রতি তাঁদের যে তীব্র ভালবাসা, সেটি এক ফুঁৎকারে তাঁদের অভিমান, অভিযোগ, আর অসন্তোষগুলোকে তুলোর মতো উড়িয়ে দেবে। শুধু আশায় বসতি! আমার আশা পুরণ না হওয়ার সম্ভাবনাই সম্ভবত বেশি।
পৃথিবীর কতো সুখী দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। কত আদর্শবান জুটির তালাক হয়ে গেল। আমরা বাইরে থেকে শুধু কল্পনা করে নিই উপন্যাসের নায়কের মতো, সিনেমার হিরোর মতো এক একজন পছন্দের পুরুষকে, যেন তাঁরা অনৈতিক কিছু করতে পারেন না। বিল ক্লিনটনকে নিয়েও তো এমনই ভেবেছিল গোটা জগত। কিন্তু দেখল তাঁরও স্খলন হয়েছে, এত বড় স্খলনের পরও কিন্তু বিলের স্ত্রী বিলকে ডিভোর্স দেয়নি। আর জাস্টিনের কোনও স্খলন না থাকলেও সম্পর্ক চুরমার হয়ে গেল। হয়তো সোফি’ই নতুন কোনও সম্পর্কে জড়িয়েছেন কে জানে! অথবা কে জানে জাস্টিনই উভকামী কি না! কেন অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাচ্ছি! নাক থাকলে নাক গলাতেই হয়। পাবলিক ফিগারদের জীবন পাবলিকের। পাবলিক তাঁদের নিয়ে গবেষণা করবে। তাঁদের চরিত্রের চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে। পাবলিক তাঁদের জন্য হাহুতাশ করবে, কাঁদবে। পাবলিক তাঁদের সুখে সুখী হবে। পাবলিক ছাড়া তাঁদের চলে না। পাবলিকেরও তাঁদের ছাড়া চলে না।
সুখী হওয়াটাই আসল। নিজের জীবন দিয়ে জানি আমি যখন একা, আমি সুখী। দু’তিনটে টক্সিক মাসক্যুলিনিটির কবল থেকে দ্রুত মুক্ত হয়ে আমি একা একাই ভাল থাকি। কিন্তু টক্সিক না হয়ে সম্পর্ক যদি ভালবাসাময় হতো! তাহলে ভালবাসা আঁকড়ে পড়ে থাকতাম সবটা জীবন। আসলে ভালবাসা ছেড়ে কেউ কোথাও যায় না। যারা যায়, অবিশ্বাসের সাপ তাদের ছোবল দিতে চায় বলেই যায়।
আপনার এই সুন্দর অনুভূতি?
অথচ আমি ভেবেছিলাম
আপনার মধ্যে এসব নাই
অন্যরকম কিছু।
যা আপনার লেখায় ফুটে ওঠে
কি এখন কি ক্লান্ত হয়ে গেলেন নাকি?
রেসপন্স করবেন ।।।
Hello didi, How can i contact with you?
লেখাটি চমৎকার হয়েছে। তবে আরও কিছু সংযোজন হলে ভালো।
সম্পর্ক সব সময় দু তরফা হয় এক তরফা হয় না। দু তরফার মধ্যে বনিবনা না হলেই ডিভোর্স হয়। মনোমালিন্য কতদিন মানুষ সহ্য করবে তার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া উভয়ের পক্ষেই ভাল। এছাড়াও দুজনের ব্যক্তিত্বের সাথে দুজনের মিলমিশ হয় না। এই কারণে ও ডিভোর্স হয়।
লেখাটা পড়লাম, ভাল লাগলো।
আপনার লেখাটি বলে খুব ভালো লেগেছে। আপনি বাস্তবতার সাথে কথা তুলে ধরেছেন
রুদ্রর কবিতা, গান শুনে ভাবি যে এমন একজন ব্যক্তি এমন একটা মেয়ের জন্য নিজের জীবন শেষ করে দিলো। আপনার জীবনটা কতটাই না কুৎসিত অথচ আপনি নিজেকে মহান ভাবেন, এতেই বোঝায় যায় যে আপনি কতটা কুৎসিত। নারী বাদী বলতে কিছু হয় না, এরা হয় বিকৃত মস্তিষ্কের নারী আর তাদের আইডল আপনি। পৃথিবীর সৃষ্টিতে জোড়া এবং এর বৈশিষ্ট্য বুঝার জন্য শুধু প্রকৃতি বুঝাই যথেষ্ট প্রকৃতির অন্য প্রাণীগুলোর দিকে তাকালেই যথেষ্ট, মা-বাবা এবং তাদের উত্তরসূরী মা বাবা একসাথে না থাকলেও তাদের বন্ধন তাদের সন্তানেরা হয় এটাই প্রানী জগতের সৌন্দর্য। পৃথিবীতে যেমন ঝড় হয়, বৃষ্টি হয়, প্লাবন হয় সব দুমড়ে মুচড়ে যায়, জীবন এবং সম্পর্কও ঠিক তেমন। আকড়ে ধরে থাকতে হয় সেটাকে ভালোবাসা মায়া বলে, যেটা রুদ্রর মধ্যে ছিলো এবং তার কবিতায় সেটার প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। আপনার জীবনের সফলতা এবং পাওয়া একটাই সেটা হলো রুদ্রর আপনার প্রতি ভালোবাসা। চিন্তা করে দেখুন সে কত নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে আর আমরা তার কবিতা গান শুনে চোখ ভিজাই।